সমাজের কু-দিকসমূহ — পরীক্ষানিয়োগ প্যারাগ্রাফ
আমাদের সমাজে অনেক নৈতিক ও সামাজিক সমস্যা ছড়িয়ে পড়েছে, যা ব্যক্তিগত এবং জাতীয় উন্নয়নের পথে বড় এক বাধা। প্রতিদিনের জীবনে মূল্যবৃদ্ধি (price hike) সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। নিরক্ষরতা একটি অভিশাপ, যা মানুষের চিন্তা-চেতনা ও কর্মদক্ষতাকে ব্যাহত করে এবং শিশুশ্রমের মতো অবিচারকে বাধ্যতামূলক করে তোলে। লিঙ্গ বৈষম্য ও যৌতুক প্রথা নারীর মর্যাদা লঘু করে, আর মানসিক চাপ বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পাস সহিংসতা ও অপরাধবোধহীনতা দায়ী। শহরে ট্র্যাফিক জ্যাম ও লোডশেডিং মানুষের সময় ও উৎপাদন হারায়; বস্তিগুলোতে বসবাস মানে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অপর্যাপ্ত পরিষেবা। পরিবেশ দূষণ, বন উজাড়, অ্যাসিড বৃষ্টি ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ত্বরান্বিত করে; বাংলাদেশের মতো দেশে বন্যা ও ভূমিকম্পের প্রভাব খুবই ধ্বংসাত্মক। জনস্বাস্থ্যের সমস্যা যেমন ডেঙ্গু, বার্ড ফ্লু ও আর্সেনিক-আক্রান্ত পানি মানুষের জীবন বিপন্ন করে। দুর্নীতি, ঘুষ, হাইজ্যাকিং, সন্ত্রাসবাদ ও লঞ্চ ডুবি জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধূমপান, অতিরিক্ত খাওয়া ও মাদকাসক্তি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ধ্বংস করে। নির্ধারিত ন্যায়বিচার না পৌঁছানো, অনৈতিক পরীক্ষার উপায় ও ইংরেজিতে ব্যর্থতা দীর্ঘমেয়াদে সমাজকে পিছিয়ে রাখে। এসব কু-দিক কাটিয়ে ওঠার জন্য শিক্ষার প্রসার, কঠোর আইন প্রয়োগ, সামাজিক সচেতনতা ও নৈতিক পুনর্গঠন জরুরি — তখনই আমরা টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাজ নির্মাণ করতে পারব।